শ্রীলঙ্কায় উচ্চ কর, মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এ বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়াই করছে শ্রীলঙ্কা। রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশটি জ্বালানি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। এর জের ধরে গত জুলাইয়ে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।
এএফপি জানিয়েছে, বুধবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভে বিরোধী রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের সদস্যরা যোগ দেয়। মিছিলকারীরা শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও মন্ত্রণালয় এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সিলন টিচার্স ইউনিয়ন সেক্রেটারি জোসেফ স্ট্যালিন বলেছেন, ‘মানুষের তিনবেলা খাবার জোগাড় করাই মুশকিল। এই পরিস্থিতিতেও সরকার আরও বেশি করে কর আরোপ করা ছাড়া মানুষকে সহযোগিতার জন্য কিছুই করেনি। আমাদের সমাধান দরকার এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’
প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ১৪ নভেম্বর তার প্রথম বাজেট পেশ করবেন। এতে দেশের ছিন্নভিন্ন অর্থনীতিকে আবার মজবুত করতে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদনের জন্য কর বৃদ্ধি ও অন্যান্য সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বাজেটে কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত আয়কর ৩০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। তবে অক্টোবরে দেশটিতে ৬৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার বিক্ষোভ দমন করতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের অপপ্রয়োগ করছে। এই আইনের মাধ্যমে বিক্ষোভকারী নেতাদের কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে।
প্রধান বিরোধী সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি) সিনিয়র সদস্য এরান বিক্রমারত্নে বলেছেন, ‘প্রত্যেককে অবশ্যই আইনের মধ্যে থাকতে হবে। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু এই সরকার বিক্ষোভকারী নেতাদের দমন করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করছে এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।’