গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বুস্টার ডোজ দেওয়া উদ্বোধন করা হয়। প্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া চলছে। প্রথমে ষাটোর্ধ নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের এই ডোজের আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে বয়স কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত মানুষদের বয়স ৫০ থেকে কমিয়ে ন্যূনতম ৪০ বছর করার কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। দুই ডোজ টিকা যারা নিয়েছেন, সেসব ব্যক্তিরাই বুস্টার হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজের জন্য নতুন করে কারো নিবন্ধনের দরকার নেই বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বুস্টার ডোজের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে, যারা যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, তারা সেই একই কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন। তবে বুস্টার ডোজের জন্য মোবাইলে এসএমএস দেওয়া হবে। এসএমএস পাওয়ার পরে নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে যাওয়ার সময় নতুন করে টিকাকার্ড ডাউনলোড করে সঙ্গে নিতে হবে।
তবে এরমধ্যে যারা এসএমএস পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হন; তাহলে তিনি সংক্রমিত অবস্থায় বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন কিনা? এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বুস্টার ডোজ নিতে হলে প্রথমত টিকার দুটি ডোজই নেওয়া থাকতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাসের পরে বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বুস্টার ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন, তারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বুস্টার ডোজ নিতে না পারলে; করোনা নেগেটিভ হওয়ার ছয় সপ্তাহ পরে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।’