ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এক মাস পেরিয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। উদ্বাস্তু হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে সামরিক সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা বৈঠক করেছে মস্কো ও কিয়েভ।
সর্বশেষ দুই দেশের মধ্যে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকটি সফল হয়েছে বলে দাবি করে দুই দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সেনা সরানো এবং হামলা বন্ধের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। কিন্তু বৈঠকের একদিন না যেতেই বুধবার (৩০ মার্চ) কিয়েভে কয়েক দফা বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইউক্রেনের সংবাদ মাধ্যম দ্য কিয়েভ ইন্ডেপেনডেন্ট জানায়, রাজধানীর পাশাপাশি জাইটোমির, খারকিভ, দিনিপ্রো এবং পোলতাভাসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বুধবার ভোরের দিকে হামলা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো চীন সফর শুরু করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বেইজিংয়ে নিযুক্ত রাশিয়ার দূতাবাস জানায়, ল্যাভরভ চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর হুয়াংশানে অবতরণ করেছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, আফগানিস্তানকে পুনর্গঠন নিয়ে চীন সরকার কর্তৃক আয়োজিত একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন ল্যাভরভ। আশা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকরাও বৈঠকে অংশ নেবেন।
বেইজিং জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠক চলাকালে কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেখা করবেন। তবে তিনি ল্যাভরভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।