কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে চলাফেরার জন্য কয়েকটা দেশকে বিশেষ নিরাপত্তা ফোর্স দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অনেক উন্নত দেশে এটা দেওয়া হয় না। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সৌদি আরবে এ সুবিধা দেওয়া হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর কাউকে এ সুবিধা দেব না।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব জানান, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় তা কমানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করবো। সড়কে চলাচলের সময় রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এখন শুধু পুলিশের এসকর্ট থাকছে না।
তবে অফিস ও মিশনের দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। আর তারা যদি বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চান, সে ক্ষেত্রে আনসার থেকে তারা এ সার্ভিস ভাড়া করতে পারবেন।
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিতে গেলে আনসারকে অর্থ দিতে হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কোনও দেশে ফ্রি দেওয়া হয় না। সামান্য পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
কূটনীতিকদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কূটনীতিকরা কোথায় পতাকা ব্যবহার করবেন, আর কোথায় করবেন না, সে বিষয়ে আশা করি তারা সজাগ থাকবেন। আমি যখন ব্যক্তিগত কাজ ও শপিংয়ে যাই, তখন পতাকা ব্যবহার করি না।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূত বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তবে এখন থেকে তারা এটা আর পাবেন না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার তিনি জানান, এখন থেকে বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনাররা আর বাড়তি প্রটোকল সুবিধা পাবেন না। তবে কেউ নিতে চাইলে তিনি ভাড়া করতে পারবেন।