যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে করোনা পজিটিভ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সহকারী চিকিৎসক মনজুর হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান আজ সকালে দেশে ফিরেছেন। কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে তার টেস্ট জরুরি ছিল। আজ সকালে তার কোভিড টেস্ট করানো হয়েছিল। রাতে আমরা রিপোর্ট পেয়েছি। কোভিড টেস্টে তার পজিটিভ এসেছে। বাসায় আইসোলেশনে আছেন।‘
প্রথম টেস্টে সাকিবের খেলার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে মনজুর বলেন, বিসিবির কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী কেউ পজিটিভ হলে তাকে পাঁচ দিন আইসোলেটেড থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে সাকিবের পরবর্তী টেস্ট হবে আগামী ১৫ তারিখ। আর চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট সেদিন থেকেই শুরু।
বিসিবি ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছে, দেশে ফিরে ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রনমেন্ট (এমইই) প্রটোকল অনুযায়ী সাকিব পিসিআর ও র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করান। দুটো পরীক্ষাতেই তার কোভিড পজিটিভ আসে।
সাকিবের করোনার উপসর্গ আছে। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। এজন্য তাকে বাধ্যতামূলক চার দিনের আইসোলেশনে রেখেছে বিসিবি চিকিৎসা বিভাগ। মনজুর হোসেন বলেছেন, ‘সাকিবের কোভিড উপসর্গ আছে। তার আইসোলেশনের প্রক্রিয়া হচ্ছে তিনি বাসায় থাকবেন পাঁচ দিন। ১৪ তারিখ তার আইসোলেশন শেষ হবে। এরপর তিনি চাইলে টিমের সাথে যোগ দিতে পারবেন। মেডিক্যাল টিম থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হয়ে গেলেও তিনি অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি নিয়েছিলেন। ১২ মে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অনুশীলন করার কথা ছিল তার। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় তার মাঠে ফেরা পেছাল।
এদিকে, চট্টগ্রাম টেস্টে তার খেলা হচ্ছে না। ঢাকা টেস্ট শুরু ২৩ মে। শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করবে তার মাঠে ফেরা। বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ টেস্ট সিরিজও খেলা হয়নি সাকিবের। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ খেলার পর জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
চট্টগ্রামে সাকিবের বিকল্প কোনো খেলোয়াড় নেওয়া হবে কিনা তা এখনও চিন্তা করেননি নির্বাচকরা। হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘সাকিবের ঘটনাটি মাত্রই শুনলাম। যেহেতু করোনা পজিটিভ, প্রথম টেস্ট তার খেলা হবে না এটাইতো স্বাভাবিক। তবে এই মুহূর্তে সাকিবের বিকল্প নিয়ে আমরা চিন্তা করিনি। মাত্রই যেহেতু ঘটনা শুনলাম। এ ব্যাপারে আমারা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।’