দেশজুড়ে জারি করা লকডাউনের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ৪০ জনকে নিয়ে গার্ডেন পার্টি করেছিলেন জনসন। তীব্র সমালোচনার মুখে বুধবার পার্লামেন্টে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালের মে মাসে জমায়েত, পার্টি সবকিছুর উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। ওই সময় গার্ডেন পার্টিতে যোগ দিতে ইমেলের মাধ্যমে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোমবার সেই ইমেইল ফাঁস হয়ে যায়। এতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন জনসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জনসন এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আমলা সুয়ে গ্রেকে তদন্তের ভার দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন পুলিশ।
বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া বিবৃতিতে জনসন বলেছেন, ‘আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি জানি যে এই দেশের লাখ লাখ মানুষ গত ১৮ মাসে অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি জানি তারা যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছে – তাদের আত্মীয়দের জন্য শোক প্রকাশ করতে পারেননি, তারা তাদের পছন্দ মতো জীবনযাপন করতে বা তাদের পছন্দের জিনিসগুলি করতে অক্ষম ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি যে তারা আমার ও আমি যে সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে থাকি তার বিরুদ্ধে তারা ক্ষোভ অনুভব করছে এই ভেবে যে, যারা নিয়ম তৈরি করে সেই ডাউনিং স্ট্রিটই নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করছে না। যদিও আমি বর্তমান তদন্তের উপসংহারের পূর্বাভাস দিতে পারি না, আমি যথেষ্ট শিখেছি যে এমন কিছু জিনিস ছিল যা আমরা সঠিকভাবে পারিনি এবং আমাকে অবশ্যই দায়ভার নিতে হবে।’