নাগরিকদের নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়ে মানবিক করিডোর খোলার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা একথা জানিয়েছে। তবে ইউক্রেনের কোনো কর্মকর্তার কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছেছে বলে সোমবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক ঘোষণায় একথা জানান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমিতে থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার রুট স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের মারিউপোল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি রুট খোলার দুটি প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
সে সময় ইউক্রেন কর্মকর্তারা বলেন, রাশিয়া ওই এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তারা শহরটিতে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন জানান, ‘তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া এবং চীন বর্তমান ব্যবস্থাকে হটিয়ে নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা প্রনয়নের কথা চিন্তা করছে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং অন্য দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সময় মস্কোর গমের বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিন্দা করতে বেইজিংয়ের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন মরিসন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে যুদ্ধ সহায়তা দিতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, অস্ত্র, গোলাবারুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার।