বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন এবং একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানও। মনে করা হয় দুটি মানুষের এই বন্ধন জন্ম জন্মান্তরের। তাই মানুষ বেশ ঘটা করে অনুষ্ঠান করে লোক দাওয়াত দিয়ে বিয়ে করে থাকেন।
মানুষের ক্ষেত্রে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই বন্ধন নেই। পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ না হয়েই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ভালোবেসে দিন কাটিয়ে দেয় তারা। তবে মানুষের শখের বসে কিংবা সংস্কৃতির কারণে মাঝে মধ্যেই জীবজন্তুর বিয়ের কথাও শোনা যায়।
যেমন বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি যেমন সমাজে দেখা যায়, তেমনি আবার অনেকে শখের বসে নিজের পোষ্য কুকুর বা বিড়ালের বিয়েও দিয়ে থাকেন। চিড়িয়াখানায় সিংহ-সিংহীর কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর বিয়ের দেওয়ার ঘটনাও মাঝে মধ্যে শোনা যায়।
এ ধরনেরই এক ব্যতিক্রম বিয়ের ঘটনা ঘটেছে এবার ভারতের মধ্যপ্রদেশে। সেখানে রীতিমতো কুণ্ডলি (রাশিফল) মিলিয়ে বিয়ের সব রীতিনীতি মেনে একটি টিয়া পাখির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে একটি ময়না পাখির।
দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কারেলির পিপারিয়া (রাকাই) গ্রামে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা দুই ব্যক্তি সন্তানস্নেহে লালনপালন করা পাখির বিয়ে দিয়েছেন। রামস্বরূপ পরিহারের পোষা ময়না বিবাহবন্ধনে বাধা পড়েছে বাদল লাল বিশ্বকর্মার টিয়ার সঙ্গে। রীতিমতো হিন্দু বিবাহ রীতি মেনে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ে।
বিয়ের আগে কুণ্ডলি (রাশিফল) মিলিয়ে দেখা হয় পাত্র-পাত্রীর। কুণ্ডলি ম্যাচিং হওয়ার পরই বাদল লাল নিজের ছেলের মতো প্রতিপালন করা টিয়া এবং রামস্বরূপ নিজের মেয়ের মতো প্রতিপালন করা ময়না পাখির বিয়েতে সম্মতি দেন। এরপর মহা ধুমধাম, জাঁকজমকে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বাজনা বাজিয়ে ঢোলের তালে নাচতে নাচতে রামস্বরূপের বাড়িতে মণ্ডপে এসে পৌঁছান বরযাত্রীরা। চারচাকা গাড়ির ভেতর খাঁচায় করে আসে টিয়া-বর। পাত্রকে দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল রাস্তায়। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। ধুমধাম করে টিয়া-ময়নার বিয়ে দেওয়ার এই বিরল ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।