দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করতে পারা উচিত বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে সংলাপ শেষে সাংবাদিক সাথে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বেগম খালেদা জিয়া।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবে কি-না তা জানতে চেয়েছি। আমার মতে উনার নির্বাচন করতে পারা উচিত। কেননা উনার মামলার ফয়সালা হয়নি। আমি সবসময়ে বলেছি জামিন পাওয়া উনার অধিকার।
সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা এসেছিলেন তারা সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র চেয়েছি। এটাও আমরা বলেছি দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলিনি কিন্তু কঠিন ব্যাপার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে উনারা আমাদের উপদেশগুলো সিরিয়াসলি নিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কথা বলেছি। নারীদের ব্যাপারে কথা বলেছি।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন শক্ত হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০টি জেলাতে অফিস না করে ১০টি জেলায় করা যায় কি-না? প্রত্যেক জেলাতে চাঁদা দেওয়া ১ হাজার সদস্য থাকতে হবে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ নারী থাকতে হবে। এই সব আমরা আলোচনা করছি।
এছাড়া রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল হওয়া সেই রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে বলেন, যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আছে। এখানে এইভাবে এটাকে ফেলে রাখার মানে হবে না।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৩ মার্চ ৩০ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। যদিও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওইদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।