বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। বর্তমানে কোনরকম বিপদের আশঙ্কা নেই।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল টিমের চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পর বেগম জিয়ার বায়োপসি করা হয়। এখন তিনি সুস্থ আছেন। শরীরের কোনো অংশে ছোট্ট একটু চাকা দেখা দেওয়া বায়োপসি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে সময় লাগে। সেটা কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা। আবার কোন ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২১ দিনও লাগে। এর রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে তার চিকিৎসা কেমন হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তাররা বারবারই বলে এসেছেন তার যে সমস্যা এগুলোর পরিপূর্ণ চিকিৎসা এখানে করানোর ব্যবস্থা নেই। এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যে, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী; সাধারণ মানুষের মতো তারও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। তার এই অধিকারটুকুও এই সরকার স্বীকার করে না। তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনগত কোনো বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না। বারবার আমরা বলছি, এটা তার অধিকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে এটাকে মিথ্যা মামলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা একটা মিথ্যা মামলা। এই মামলায় জামিন পাওয়া তার অধিকার। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাকে বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করা।
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সংবাদ প্রকাশে কতিপয় সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার তীব্র সমালোচনা করেন এবং হাসতে হাসতে বলেন, ‘হলুদ না; এগুলো হাইপার জার্নালিজম’।
এর আগে ১০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হলে সিটি স্ক্যানের জন্য খালেদা জিয়াকে ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। করোনা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট দেশে হানা দিলে ১৯ জুন ব্যক্তিগত মেডিক্যাল টিমের পরামর্শে তাকে বাসা নিয়ে আসা হয়। এর আগে ৯ মে তার করোনা নেগেটিভ আসার খবর জানায় বিএনপি। বাসার ফেরার পর গত ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ এবং ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন। শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিলে গত ১২ অক্টোবর ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেই থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।