বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বৃহস্পতিবার ২০২১ সালের এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। গতবারের মতো এবারও ‘মিশ্র শাসন’ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকা প্রকাশ করেছে ইআইইউ। এগুলো হলো- নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার।
তালিকায় বিভিন্ন দেশকে পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র শাসনব্যবস্থা ও স্বৈরশাসন শ্রেণিতে ফেলা হয়েছে। ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশকে মিশ্র শাসনব্যবস্থা তালিকায় রাখা হয়েছে। ২০২০ সালেও বাংলাদেশ এই শ্রেণিতে ছিল। তবে এবার একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ৭৬, ২০১৯ সালে ৮০, ২০১৮ সালে ৮৮ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এবার দেশটি তালিকার ৭৫ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে।
মিশ্র শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ইআইইউ জানিয়েছে, এই শাসনব্যবস্থায়, নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়, যা অনেক সময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা তৈরি করে। বিরোধী দল এবং প্রার্থীর ওপর সরকারি চাপ সাধারণ ঘটনা। এছাড়া এখানে দুর্নীতি মারাত্মকভাবে বিস্তৃত, আইনের শাসন দুর্বল, সুশীল সমাজের অবস্থান দুর্বল এবং বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। এই পরিস্থিতিতে সাধারণত সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপের মুখে থাকতে হয়।
মিশ্র শাসনব্যবস্থার তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে ১০৪ নম্বরে, নেপাল ১০১ ও ভুটান ৮১ নম্বরে। এছাড়া এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারত আছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকায় ৪৬ নম্বরে ও শ্রীলংকা ৬৭ নম্বরে রয়েছে।