অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। প্রচণ্ড গরমে শরীর ডিহাইড্রেশন, ঘাম বসে সর্দি-কাশি, দুর্বলতা, হজমের সমস্যা এবং হিট স্ট্রোকের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
এই প্রতিবেদনে কিছু সহজ ঘরোয়া টোটকা তুলে ধরা হলো, যা এসব সাধারণ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারে।
অ্যাসিডিটি কমতে: অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে এক টুকরো লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে থাকুন। লবঙ্গে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করবে।
শুকনো কাশি কমাতে: দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশিতে ভুগলে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ৫-৬টা খেজুর আধা লিটার দুধে প্রায় আধ ঘণ্টা ফোটান। কম আঁচে ফোটাবেন। ফুটে ফুটে দুধ কমে গেলে, এই মিশ্রণটি দিনে অন্তত তিনবার খান।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যারা মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন খালি পেটে একটি করে আপেল খান। এতে ব্যথা উপশম হতে পারে।
কাশি কমাতে: প্রচন্ড কাশি হলে তুলসি দিয়ে তৈরি এই ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তুলসীর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ রসুনের রস এবং মধু মিশিয়ে খান। দিনে একাধিকবার এই মিশ্রণটি খান। কাশি কমাতে সাহায্য করবে এই টোটকা।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে: তুলসীর মধ্যে ঔষধি গুণাগুণ প্রচুর। তুলসীতে অ্যান্টাসিড বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। কয়েকটা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। তুলসী পাতা অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং আলসার দূরে রাখতে সাহায্য করে। খাবার হজমেও সাহায্য করে।
মাথাব্যথা কমাতে: গরমে যদি অসহ্য মাথাব্যথা হয়, তাহলে এক গ্লাস তরমুজের রস খান। মাথাব্যথা কমাতে তরমুজ দুর্দান্ত বিকল্প। কারণ এই ফলের বেশিরভাগই পানি। এর পাশাপাশি পটাসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটও রয়েছে তরমুজে, যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, তীব্র গরমে মাথাব্যথা হতে পারে। তরমুজের রস শরীরকে হাইড্রেট করে এবং খনিজ ও ভিটামিন সরবরাহ করে। ফলে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।