শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানবো, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানবো। আমরা সেই অতীতের ওপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে কোনো ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা পাবো। সে জন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি।
সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় হয়রানি কমাতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতির কথা বলেছি। একটা সিস্টেম যখন চালু হয়, তখন কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতেই পারে। আমি প্রথমবার চেষ্টা করছি সেখানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়তো রয়েছে৷ এসব ত্রুটিকে আমরা আগামীতে আশা করি দূর করতে পারবো। তাই গুচ্ছ পদ্ধতিকে আরও সংহত করতে হবে। এটা থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিৎ হবে না। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে না যেতে আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাবো না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান।
এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বঙ্গবন্ধু রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও দ্রুত নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন জবিশিসের সাধারণ সম্পাদক। সভায় শিক্ষামন্ত্রী তাদের এ দাবিতে সায় দিয়ে দ্রুত তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অন্যান্য সদস্য, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।