মহামারি করোনার তীব্র উপসর্গের চিকিৎসায় গ্ল্যাক্সোস্মিথকেলাইনের (জিএসকে) একটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই ওষুধটি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
ব্রিটিশ মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, সোট্রোভিম্যাব নামের অ্যান্টিবডিটি ‘করোনার মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে এবং যারা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে তাদের ঝুঁকি কমাতে নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
এক বিবৃতিতে জিএসকে বলেছে, ক্লিনিক্যালপূর্ব তথ্যে দেখা গেছে ওষুধটি ‘সার্স-কোভ-২ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর। এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞায়িত উদ্বেগ ও স্বার্থের পরীক্ষিত সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সোট্রোভিম্যাবের কার্যকারিতা দেখা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘২০২১ সালের শেষ নাগাদ একটি ফলাফল দেওয়ার অভিপ্রায়ে ওমিক্রনের সব মিউটেশনের বিরুদ্ধে সোট্রোভিমাবের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা চলছে।’
এমএইআরএ জানিয়েছে, সোট্রোভিমাবের এক ডোজ ওষুধ করোনার তীব্র লক্ষণযুক্ত বয়স্কদের হাসপাতালে যাওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ৭৯ শতাংশ হ্রাস করে বলে দেখা গেছে।