তাইওয়ানের ওপর সবসময় সামরিক ভীতি প্রদর্শন করে আসছে চীন। এখন সেই ভীতির কারণে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য তাইওয়ানের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
এক সপ্তাহে আগেই তাইওয়ানের ঘোষিত আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিত এলাকায় (এডিআইজেড) ঢুকে পড়েছিল চীনের ২৮টি যুদ্ধবিমান। অবশ্য এটি তাইওয়ানের স্বাধীন আকাশসীমা বা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়। তবে এর মাধ্যমে চীন প্রচ্ছন্নভাবে তাইওয়ানকে হুমকি দিচ্ছে বলে ধারণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূ-খন্ড বলে দাবি করে চীন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও তাইওয়ান নিজেদের স্বার্বভৌম রাষ্ট্র বলে বিবেচনা করে।
বুধবার জোসেফ উ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘তাইওয়ানের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। যখন চীন সরকার বলছে যে, তারা শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করবে না এবং তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক মহড়া চালাবে, আমরা তখন একে সত্য বলেই বিশ্বাস করব।’
উ জানান, চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়টি মানবে না তাইওয়ান। চীনের তথাকথিত গণতন্ত্রের নমুনা কী হতে পারে তা হংকংয়ের বেলায় দেখা গেছে। তাই বিশ্বের একমাত্র চীনাভাষী গণতন্ত্র রক্ষায় তাইওয়ানের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।