প্রাণঘাতী বিউবনিক প্লেগ ছড়াতে শুরু করায় চীনের উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের বায়ানুর শহরে প্লেগ প্রতিরোধে তৃতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি।
গত শনিবার বায়ানুরের একটি হাসপাতালে বিউবনিক প্লেগ রোগী শনাক্তের পরপরই এ সিদ্ধান্ত নেয় চীন সরকার। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ সতর্কতা থাকবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
বায়ানুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘বর্তমানে এই শহরের মানুষের মধ্যে প্লেগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে সবার আত্মসুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে এবং সতর্ক হতে হবে। শরীরে যেকোনও ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।’
গত ১ জুলাই চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছিল, দেশটির পশ্চিম মঙ্গোলিয়ার খোভদ প্রদেশে দুইজন বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছেন। ল্যাব টেস্টে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্লেগে আক্রান্ত ওই দুই ভাই মারমোটের (ইঁদুরজাতীয় প্রাণী) মাংস খেয়েছিলেন। এ কারণে মানুষজনকে এ প্রাণী শিকার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ১৪৬ জনকে চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
প্লেগ রোগের তিনটি ধরনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিউবনিক প্লেগ। ব্যাকটেরিয়াজনিত এই অসুখ ইঁদুরজাতীয় প্রাণীদের শরীরে থাকা পোকা বা আশপাশে বসবাসকারী মাছির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অসুখটি প্রাপ্তবয়স্ক একজন রোগীকে মেরে ফেলতে পারে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যেই পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এর প্রকোপ শেষ না হতেই গত সপ্তাহে শূকরের শরীরে ফ্লু ভাইরাস পাওয়ার কথা জানায় চীন। এটিও মানুষের মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। এর মধ্যেই সামনে এলো বিউবনিক প্লেগের খবর।
সূত্র: জাগো নিউজ