মেহরাব রহমান
প্রেম এক
দুঃখ দোকানীর
হারিয়ে যাওয়া হালখাতা
শেষহীন নমস্য
নীরব
নীরবতা
জগৎ এক বিকিকিনির হাট
চেয়ে দ্যাখো দিগন্ত
কতটা রক্ত লাল
টুকটাক কাটাকুটি
আঁকিবুকি লেখাজোকা
কত অভিমান জড়ানো
অণুবীক্ষণ অনুচিন্তন
এক বসন্ত সন্ধ্যা
চঞ্চল অপেক্ষা আশাহত
সে আসেনি
পঞ্জিকার পাতায়
দিন গুনতে গুনতে
অবসন্ন অন্ধকার
ডিঙাতে ডিঙাতে
হঠাৎ সূর্যদয়
ভোরের পাখির গান
ভাসমান মেঘ
বৃষ্টির ঘর-গেরস্থালি
তারপর অবাক শ্রাবণ
তোলপাড় বৃষ্টি
ভালোবাসার জগৎ
চৈত্রের কাঠফাটা রোদ
বহমান অনেক আনন্দ–সড়ক
হাঁটি হাঁটি পা পা করে
বর্তমান হেঁটে যায় ভবিষ্যতের দিকে
অবাক বিস্ময় এই হৃদয়পুর
এই রাজ্যের একাধিপতি আমি
চুম্বকের মাতাল নেশা
বুঁদ হয়ে থাকা
চুমু খাওয়া শূন্যতায়
চুম্বন :
প্রার্থনায়
পূজায়
মানমন্দির
আরাধনায়
বিমূর্ত, কায়াহীন, ছায়াহীন
ঈশ্বরের অধিআত্মায়
গোপন কোঠায়
তাঁর কল্পঅধরে বারেবারে
আদর চুম্বন
চোখের জলে ভাসে চোখ
দুঃখ-দোকানির হারিয়ে যাওয়া
হালখাতা খাতার প্রতি পৃষ্ঠায় লেখা আছে
চুম্বনের রোমাঞ্চ দাগ
আজ বিস্মৃত তোমার অভিসার
ঢিপ ঢিপ দুরু দুরু বুক
অবাক ঘূর্ণিঝড়
লোবানের স্বর্গীয় সুগন্ধমাখা অভ্যন্তর দুজনার ঠোঁটে ঠোঁট
দোঁহার হৃদয় দোঁহে পান করা
এতোসব সুখজাগানিয়া অরণ্য-উন্মাদনা
কোথায় হারায় ?
কাঁদে হায় ! দূর বাতিঘর
ভিন গ্রহে থেমে থাকে প্রমত্ত যৌবন
চুমু খাওয়ায় এখন অন্য স্বাদ
অদৃশ্য অজানায়
পাখির বিমূর্ত ডানায়
জমকালো ঝলমলে
মানসপট ছুঁয়ে দেখা
চুম্বক চুম্বন আকাশের পাঁজরে
কল্পলোকের গহীন দেরাজে
পাকা ধানের শীষে
আলতো করে কোমল ঠোঁট ছুঁয়ে থাকা
বিকল্প সরোবরে অথৈ সাঁতার
তখন রমণী নান্দনিক
এক অসামান্য নন্দনতত্ব
ছিল যামিনীর নম্র সহচর আমি কেবলি ভালোবাসার নগণ্য নকর
আজও সব ঠিকঠাক
তার সাথে পাশাপাশি
জড়িয়ে থাকা
ছায়ার মতন
সময়ের প্রান্তিকে দাঁড়িয়ে এখন
উত্তুরে হওয়ার দেশ
অবস্থান: এক স্বপ্ন-নগর
ইস্কুলে জ্ঞান বিতরণ
আমি নিবেদিত প্রাণ এক
দেবশিশুদের সাথে
যাকিছু দেয়া-নেয়া
যাকিছু সেবা
যাকিছু বিনিময়
ওদের কাছে আমি এক রহস্য মানব
বিপরীতে ওরা খুব ভালোবাসে
নাতিশীতোষ্ণ পলিমাটি
প্রেম দেয় যখন তখন
কারুকাজ উল্কি আঁকা
বিমূর্ত অদৃশ্য চুম্বনের
নানাবর্ণ ফুল
ওদের উন্মুক্ত কপালে, কপোলে
চুম্বক চুম্বনের সুখস্পর্শ
এইসব দেবশিশুগণ কুসুম কোমল
আমার সঙ্গে আলোর পিদিম জ্বেলে
আলোর মশাল হাতে
যাবে দূর অজানায়
এভাবেই ওরা হেঁটে যাবে ততদূর
যতদূর বিস্তৃত আলেয়া বিতান
উৎসের সন্ধান