মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজ করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেই এ অনুমোদন।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) এ অনুমোদন দেয় জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থাটি।
এ নিয়ে মোট চারটি করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলো হু।
জনসনের এক ডোজের টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরিবাইসাস বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রত্যেকটি কার্যকর টিকা কিংবা অন্যান্য উপকরণ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের আরো একধাপ এগিয়ে দেয়। তবে এটা যতোক্ষণ পর্যন্ত না সমভাবে বন্টন হচ্ছে এবং পৃথিবীর সবাই পাচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা সাফল্য পাবো না। সুতরাং আমি বিভিন্ন দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানাবো এ সমস্ত টিকা ও অন্যান্য উপকরণকে পাবলিক পণ্য হিসেবে রাখতে এবং এ বিষয়ে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা যাতে বাস্তবায়ন করে। আর সেটা করলেই সকলের জন্য সহজলভ্য হবে এগুলো এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
জনসনের এক ডোজের টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে। বাজারে আসার আগে ৪৩ হাজার মানুষের ওপর এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেওয়া হয়।
জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো এটা ৩৬ থেকে ৪৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাধারণ ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা যাবে।
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনসনের ৫০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা সমভাবে বিশ্বব্যাপী বন্টন করবে। ইতোমধ্যে হু কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিশ্বের ৩৮টি দেশে ৩০ মিলিয়ন করোনার টিকা সরবরাহ করেছে।