মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। আগামী নভেম্বরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কয়েক দশক সামরিক শাসনে থাকা মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে ২০১৬ সালে অংশ নিয়েছিলেন সু চি। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে সু চি ও তার দল বিজয়ী হয়। তবে এরপরও সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছে।
মঙ্গলবার সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের নির্বাচন কমিশন অফিসে ৭৫ বছরের সু চি তার মনোনয়ন পত্র জমা দেন। লাল মাস্ক পরিহিত সু চির সমর্থকরা এসময় তার পক্ষে স্লোগান দেয়।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে নামে। প্রাণে বাঁচতে ওই সময় সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের তদন্ত দল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গণহত্যার ইচ্ছা নিয়ে’ রাখাইনে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ও মিয়ানমারের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। জানুয়ারিতে আদালতে শুনানিতে, সু চি স্বীকার করেন যুদ্ধাপরাধ ঘটলেও ঘটে থাকতে পারে। তবে গণহত্যা চালানো হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।