ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর শনিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা টানা জেরা করেছেন প্রশান্ত কুমার হালদারকে। এক পর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইডি সূত্রের বরাত দিয়ে কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলো এমন তথ্য জানায়।
শনিবার দুপুরে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পি কে হালদারের খোঁজে গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ তার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৫ মে) পি কে হালদারকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ডে নেওয়ার পর থেকে ইডি কর্মকর্তারা ম্যারাথন জেরার মুখে রেখেছেন পি কে হালদারকে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র। পি কে হালদারের গডফাদার কে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানিয়েছিল, পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে শিবশঙ্কর পরিচয়ে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ড জোগাড় করেছিলেন। তিনি মহানগরীর অভিজাত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন।