ঔপনিবেশিক যুগে জিম্বাবুয়ে থেকে নেওয়া মানুষের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিতে রাজী হয়েছে যুক্তরাজ্য। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
জিম্বাবুয়ের একটি প্রতিনিধিদল উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করার পরে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৯ শতকের শেষের দিকের ঔপনিবেশিক বিরোধী নায়কদের খুলি খুঁজছে জিম্বাবুয়ে। ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথমবারের বিদ্রোহ করেছিল জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতাকামী নেতারা। এদের অনেককে হত্যা করেছিল ব্রিটিশ সেনারা। ধারণা করা হয়, স্বাধীনতার এসব নায়ককে হত্যার প্রমাণ হিসেবে তাদের মাথার খুলি ব্রিটেনে পাঠানো হয়েছিল। নিহত এসব বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এমবুয়া নেহান্দা নামের এক নারী। তাকে হারারেতে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়েছিল ব্রিটিশ সেনারা। তাকে জিম্বাবুয়ের জাতীয় নারী বীর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
আর্কাইভে অনুসন্ধান করতে গিয়ে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ১১টি দেহাবশেষের খোঁজ পেয়েছে ‘যেগুলো মূলত জিম্বাবুয়ের বলে মনে হচ্ছে’। তবে এগুলোর তথ্যের সঙ্গে নেহান্দার দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি। এসব দেহাবশেষের মধ্যে রয়েছে ১৮৯৩ সালে নেওয়া তিনটি মাথার খুলি। এগুলো জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় শহর বুলাওয়েও থেকে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডাকওয়ার্থ ল্যাবরেটরি অবশ্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তারা জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘জিম্বাবুয়ে থেকে পাঠানো অল্প সংখ্যক মানুষের দেহাবশেষ’ রয়েছে।