হাসপাতাল থেকে মোশাররফ হোসেন রুবেল বাসায় ফেরায় সাকিব আল হাসান ভেবেছিলেন বিপদ বুঝি কেটে গেছে। পাশে থাকা মানুষের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন এভাবে, ‘হয়তো কম বয়স দেখে সারভাইভ করতে পারছেন।’ কিন্তু কে জানত সাকিবের এই ভাবনা পাল্টে যাবে দুদিনের মাথায়।
সবাইকে কাঁদিয়ে শোকে স্তব্ধ করে বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার রুবেল পরপারে পা বাড়িয়েছেন গতকাল মঙ্গলবার। সতীর্থের মৃত্যুর খবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পেয়েছেন সাকিব। আজ দেশে ফিরে সাকিবের কণ্ঠে ছিল হাহাকার, ‘আসলে খুবই দুঃখজনক। আমি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম, নিউজ দেখছিলাম যে উনি মাত্র বাসায় গেলেন, একটু ভালো অনুভব করছিলেন। ভাবলাম যে, কোনোভাবে বুঝি সারভাইভ করলেন। আরেকজনের সঙ্গে কথাও বলছিলাম এটা নিয়ে যে, হয়তো কম বয়স দেখে সারভাইভ করতে পারছেন। তবে হঠাৎ করে… খবরটা পাই যখন প্লেনে ছিলাম। খুবই দুঃখজনক… তবে জীবনে যে কোনো কিছুর গ্যারান্টি নেই, এটা সেটির একটি প্রমাণ।’
ক্যানসারের সঙ্গে মোশাররফ রুবেলের লড়াইয়ে আর্থিক-মানসিক ও নানাভাবে পাশে থেকেছেন বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। গত মাসেই সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট থেকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় চিকিৎসার সহায়তায়। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, এনামুল হক, আল-আমিন, শরিফুল ইসলামরা আসেন তার জানাজায়। প্রত্যেকেই ছিলেন শোকে কাতর।
সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান, নাঈমুর রহমান, খালেদ মাহমুদরাও ছিলেন উপস্থিত। কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিলেন না তারা। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনুস, ইফতেখার মিঠু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দীন চৌধুরীও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। রাতে বনানি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।