ডাঃ তাবাস্সুম উর্মি রোজা,
কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট,কগনিসিটি ওয়েলবিং,লন্ডন।
বর্তমানের দ্রুততর জীবনযাত্রায় মানুষের সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করার সময়ও থাকে না। এর ফলে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতাও। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া এবং অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। কোনও কাজ করতে গেলে সব সময় অলসতা কাজ করে। এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য বা দুধ পান করা উচিৎ। এটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর খুব ভাল উৎস, তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঠাণ্ডা না গরম দুধ বেশি উপকারি তা জেনে নেওয়া যাক।
দুধ ঠান্ডা বা গরম, দুই ভাবেই পান করার নানান সুবিধা রয়েছে। তাই কোন উপায়ে দুধ খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। দুধ শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাাদান। দুধ শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। যদি স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকে তবে আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন।
দুধে থাকা ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামে একটি রাসায়নিক তৈরি করে, যা আরও ভাল ঘুম হতে সহায়তা করে।
গরম দুধ সহজে হজম হয়। আর যাদের ল্যাকটোজ হজম করায় সমস্যা রয়েছে তাদের পক্ষে ঠান্ডা দুধ পান করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা দুধ পানের ফলে শরীরে জলের অভাব পূরণ হয়। তবে যদি জ্বর- সর্দি- কাশির মত সমস্যা থাকে তবে ঠান্ডা দুধ পান করা এড়িয়ে চলুন।
খাওয়ার পরে হাফ গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। অম্লতাজনিত জ্বালা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর ঠাণ্ডা দুধ।
বিশেষজ্ঞদের মতে খুব বেশি গরম দুধ পান করা উচিত নয়, আবার ফ্রিজে থাকা ঠাণ্ডা দুধও শরীরের পক্ষে ভালো নয়। উপকার পেতে হয় উষ্ণ দুধ পান করুন অথবা ঘরের তাপমাত্রায় থাকা ঠাণ্ডা দুধ পান করুন। ফ্রিজ থেকে বার করেই ঠাণ্ডা দুধ পান করা উচিত নয়।