ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার অবস্থান থেকে সরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং জানিয়েছেন, জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ক্যানবেরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তির পদক্ষেপকে অবমূল্যায়ন করেছে এবং অস্ট্রেলিয়াকে অন্যান্য দেশের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের পররাষ্ট্রনীতিকে বদলে দিয়ে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়। এর কয়েক মাস পরেই অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ট্রাম্পের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। গত মে মাসে ক্ষমতা হারায় মরিসনের সরকার।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং জাতীয় নির্বাচনের আগে ইহুদি ভোটারদের মন জয় করার জন্য সাবেক সরকারের সিদ্ধান্তকে একটি ‘নিন্দিত খেলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি দুঃখিত যে, মরিসনের রাজনৈতিক খেলার সিদ্ধান্তের ফলে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে এবং এই পরিবর্তনগুলি অস্ট্রেলীয় সম্প্রদায়ের অনেক লোককে কষ্ট দিয়েছে যারা এই সমস্যাটি নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন।’
পেনি ওং অস্ট্রেলিয়ার ‘আগের ও দীর্ঘমেয়াদী’ অবস্থানকে পুনরায় নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, জেরুজালেমের মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে শান্তি আলোচনার অংশ হিসাবে সমাধান করা উচিত।