মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি তার ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর। তবে, ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় ১০-১৫ জনের একটি জুম মিটিং হয়। সেখানে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে যান ডিবি প্রধান।
ডিবি প্রধান বলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে, কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত থাকায় আমরা চিন্তা করলাম, কারাগারে গিয়ে আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তিনি আমাদের বলেন, তিনি ট্র্যাপে পড়ছেন। বিএনপি নেতা সারওয়ার্দী তাকে ট্র্যাপে ফেলেছেন। তাকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতাকর্মীর নম্বর দেন। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু নম্বর দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। তিনি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাও যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এগুলো করার উদ্দেশ্য হলো- বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতায় আসলে তিনি ভালো একটি পদ পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে আরেফী স্বীকার করেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেননি, তার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত।
এই কাজগুলো করার পেছনে আরেফীর কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, তার লাভ বলতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাকে দিয়ে তিনি লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আরেফী। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।