ভারতের গ্রামের দিকের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা টিকা নিয়ে ভীতি কমছে না। সরকারের সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপের পরও তারা টিকাবিমুখ হচ্ছেন। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের তেমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
রাজ্যের ইটাওয়া জেলার গ্রামগুলোতে টিকা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছিল স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই প্রচার চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক সরিতা ভাদৌরিয়া। তারা চন্দনপুরগ্রামে প্রচার চালাচ্ছিলেন।
গ্রামে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এসেছে এই খবর প্রচার হয়ে গিয়েছিল আগেই। ফলে চিকিৎসকরা যখন হরি দেবী নামে অশীতিপর এক বৃদ্ধার বাবাড়িতে পৌঁছান, তাদের দেখামাত্রই ছুটে ঘরের ভিতরে ঢুকে একটা বড় ড্রামের পিছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি।
এক চিকিৎসক হাঁক দিয়ে বলেন, ‘আম্মা কোথায় গো? টিকা দেওয়ার লোকজন এসেছে যে!’ কিন্তু হরি দেবী ড্রামের পেছন থেকে বের হতে চাইছিলেন না কিছুতেই।
বিষয়টি বুঝতে পেরে চিকিৎসকরা ফের বৃদ্ধাকে বলেন, ‘বিধায়ক এসেছে আপনার সঙ্গে দেখা করতে। ইনজেকশন দেওয়ার জন্য আসিনি। শুধু কথা বলতে এসেছি। অন্ততপক্ষে বিধায়ক কী বলছেন সেটা এসে শুনুন।’ এ ভাবে বোঝানোর পর হরি দেবী গুটি গুটি পায়ে ড্রামের পিছন থেকে বেরিয়ে আসেন।
বিধায়ক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘গ্রামে এখনও মানুষ টিকার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় ভুগছেন। আমরা সকলে তাদেরকে উৎসাহ ও অভয় দেওয়ার জন্য বেরিয়েছি। ওই বৃদ্ধা আমাদের দেখেই ভয়ে পালিয়ে যান।’
বিধায়ক জানান, বৃদ্ধা বলেছেন, তাকে নাকি বলা হয়েছে টিকা নিয়ে খুব জ্বর হয় এবং আরও ভয়ানক ঘটনা ঘটে। আর সে কারণেই তিনি টিকা নিতে চান না।