টিকা প্রয়োগের প্রথম দিন সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা নিয়েছেন ঢাকা মহানগরে; পাঁচ হাজার ৭১ জন। সবচেয়ে কম নিয়েছেন বরগুনায়; ৭৮ জন। তবে টিকা নেওয়াদের মধ্যে ২১ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শতকরা হিসেবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার ০.০৬৭ শতাংশ। যা যেকোনো টিকার ক্ষেত্রেই এক স্বাভাবিক চিত্র।
সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের পর ইতোমধ্যেই টিকা নিয়েছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব।
বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে তারা করোনার টিকা নিয়েছেন। বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড নামে টিকাটি। ভারত থেকে আনা এই ভ্যাকসিন ঘিরে বাংলাদেশে নানামুখী আলোচনা রয়েছে। এর জেরে টিকা নিতে মানুষের মাঝে কাঙ্ক্ষিত সাড়াও দেখা যায়নি বলে অনেকে মনে করেন।
আজ মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর আরও শক্তিশালী হয়ে গেছি। কোনো ধরনের সমস্যা বোধ করছি না’।
একই হাসপাতালে টিকা নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি টিকা নেন। এ সময় গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে জনগণকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে ‘সচিবালয় ক্লিনিক’-এ টিকা নেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। টিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনুভূতি অন্যান্য টিকার মতোই। সকল পর্যায়ে টিকাদান ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক। মন্ত্রী-এমপিরা অনেকেই টিকা নিচ্ছেন, অপপ্রচারকারীরা ব্যর্থ হয়েছে।’ জনগণকে নির্দ্বিধায় টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।