করোনা মহামারির কারণে ঘর থেকে বের হয়ে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবার খাওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এই ধরনের প্রযুক্তি মানুষকে এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে বলে মনে করেন যন্ত্রটির আবিষ্কারক মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোমেই মিয়াসিতা।
তার ভাষায়, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে রেস্তোরাঁয় বসে যারা খেতে পারবেন না, তাদের জন্যই এই প্রযুক্তি। ঘরে বসেই এবার সেই অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে।’
প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যন্ত্রটি তৈরির জন্য কাজ করেছেন মিয়াসিতা। গত এক বছর ধরে তিনি এটি তৈরির চেষ্টা করছিলেন। বাণিজ্যিকভাবে এই টিভির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭৫ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭৫ হাজার টাকা।
এছাড়া মিয়াসিতা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার স্প্রে প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মাধ্যমে এক টুকরো রুটি কিংবা টোস্টে পিজ্জা অথবা চকোলেটের স্বাদ পাওয়া যাবে। এখানেই শেষ নয়, খুব শিগগির তিনি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম আবিষ্কারের পরিকল্পনা করছেন যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারে স্বাদ থাকবে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা যাবে, যেমনটা এখন সংগীত এবং ভিডিওর ক্ষেত্রে আমরা ডাউনলোড করি।
সম্প্রতি মিয়াসাতির তৈরি যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করে তা দেখানো হয়। এই সময় তার এক শিক্ষার্থী এটি ব্যবহার করে দেখান। তিনি চকোলেটের স্বাদ নিতে চাচ্ছিলেন। কয়েকবার চেষ্টার পর স্বয়ংক্রিয় একটি কণ্ঠস্বর অর্ডার নেয় এবং প্লাস্টিকের আস্তরণের ওপর স্বাদের স্প্রে হতে থাকে। এরপর সেই শিক্ষার্থী স্বাদ গ্রহণ করে বলেন, ‘এটি মিল্ক চকোলেটের মতো। এটি চকোলেট সসের মতো মিষ্টি।