ই-পাসপোর্ট চালুর নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর। আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল। পরে ১ জুলাই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। আর আজ বলা হলো ডিসেম্বরের কথা।
বৈঠকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বই এবং ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ডা লা রুই ইন্টারন্যাশনাল নামক কোম্পানি থেকে পাসপোর্টের বই ও ফয়েল আমদানি করা হবে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হবে।
গত জুলাই মাসে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জুলাইয়ে হয়নি, কারণ এ কাজ বাস্তবায়নে একটি জার্মান কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এখন অনেক দূর কাজ এগিয়ে নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন এটি ডিসেম্বরের পরে আর যাবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।
বর্তমানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে মজুত পাসপোর্ট বইয়ের সংখ্যা তিন লাখ ৯৯২টি এবং লেমিনেশন ফয়েলের সংখ্যা তিন লাখ ৭৯ হাজার ৭৩০টি। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় চার লাখ পাসপোর্ট হয়। সে হিসেবে মজুত ও সরবরাহের অপেক্ষায় থাকা বই ও ফয়েল দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।