স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের ঢালাও ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে ঢালাও ভাবে বললে হবে না। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। মাস্কের কথা বলছেন- সেই মাস্ক কোনদিনই কেনা হয়নি। পেমেন্ট করা হয়নি। রিসিভ করা হয়নি। কিন্তু মাস্কের কথা আসছে। হুইচ ইজ রং। ভালো করে খতিয়ে দেখে সঠিক কথাটি বলবেন।
বুধবার (৩০ জুন) সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন আমরা আনার চেষ্টা করছি। কয়েকদিনের মধ্যে মর্ডানার ২৫ লাখ ভ্যাকসিন চলে আসবে। চীন ভ্যাকসিনও একই সময়ে চলে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ৬ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে পাবো। চীনের সিনোফার্মার সঙ্গে দেড় কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে।
‘সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দিয়ে আমরা ৫ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারবো। জনসন এন্ড জনসনকে সম্প্রতি অনুমতি দিয়েছি। সেখানকার ৭ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারবো। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে পাবো সেই ভ্যাকসিন। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম কোয়াটার্রের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারবো।’’
হাসপাতালে বেহাল অবস্থার অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব এমপিরা তো হাসপাতালের চেয়ারম্যান। উন্নয়ন কমিটির সাথে আমরা জড়িত। আপনারা প্রত্যেকে দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলো আপনাদেরই দেখার কথা। মেশিন চলে না। লোক লাগবে। এগুলো তো আপনাদের দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটা দেখেন না। নার্স, ডাক্তার বা যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদেরই বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা যা প্রয়োজন আছে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।’