দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া মহামারি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ডেল্টার চেয়ে ৬ গুণ দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির মাধ্যমেও এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, করোনার ডেল্টা প্লাসে ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। ওমিক্রন এই ডেল্টা প্লাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর অর্থাৎ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিদ্যমান টিকাগুলো থেকে পাওয়া সুরক্ষা ভেদ করতে পারবে এই ওমিক্রন।
জিনোমিক্স এবং ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি ইনস্টিটিউটের (আইজিআইবি) গবেষক মার্সি রোফিনার মতে, করোনার নতুন এই ধরন ৫৩টি রূপ বহন করতে পারে।
ওমিক্রন নিয়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্সের (এআইইএমএস) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘ওমিক্রন ইতিমধ্যেই স্পাইক প্রোটিন অঞ্চলে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন পেয়েছে। এটা স্পাইক প্রোটিনের উপস্থিতি গোস্ট কোষে ভাইরাসের প্রবেশকে সহজ করে দেয়। স্পাইক প্রোটিনের কারণেই এটি দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়।’
করোনার নতুন ধরনের ওপর কোভিড-১৯ এর টিকার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। স্পাইক প্রোটিন এলাকায় একাধিক মিউটেশনের ফলে করোনার নতুন রূপের ওপর টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই অবস্থায় ভারতের ব্যবহৃত টিকাগুলোর কার্যকরিতা মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে করোনার উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে বর্ণনা করছে। নতুন এ ধরনের বিস্তার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। জারি করা হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।