আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২ তথ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, বরং তথ্য সুরক্ষার জন্য হবে। আমরা আরও বিশ্লেষণ করবো এবং সেখান থেকে যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ আসবে। সেগুলোই গ্রহণ করে আইনটি চূড়ান্ত করবো। সবার জন্য যেটি মঙ্গল, সবাই যা গ্রহণ করবে- তা নিয়েই আইনটি করা হবে।
রোববার (১৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ এর (Data Protection Act) খসড়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ সভা শেষে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা যে আইনটা করছি, সেটি যেন সর্বজনীন হয়। আজকের পৃথিবীটা যেভাবে বদলাচ্ছে তাকে যাতে আমাদের জনগণ ফেস করতে পারে; সেভাবে করা হবে।
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সংরক্ষণেও এ আইন কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অংশীজন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এসময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা আশাবাদী যে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রতিষ্ঠানের ও রাষ্ট্রের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবো।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে যে দেশের যত বেশি তথ্য উপাত্ত থাকছে, তারাই ততো ধনী। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে আমরা আমাদের নাগরিকদের মূল্যবান তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করতে পারবো। অনুমতি সাপেক্ষে সেটার একটি বাণিজ্যিক ব্যবহারের সুযোগও আমরা তৈরি করতে পারবো। আমরা ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করতে পারবো, অনুমতি ছাড়া যেন এসব তথ্য বাইরে বিক্রি করতে না পারে।
এ ছাড়া চলতি বছরে আইনটি সংসদে উপস্থাপন করা হতে পারে এবং তার আগে মন্ত্রিপরিষদে আইনটি তোলা হবে বলেও উল্লেখ করেন পলক।