কাঁধের চোট নিয়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে নেমেছিলেন বলে শতভাগ উজার করে দিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপের পর চলে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তাসকিন বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরেন।
শতভাগ ফিটনেস নিয়ে মাঠে ফিরলেও ২২ গজে পুরোনো ধার ফেরেনি। পেস বোলিংয়ে প্রক্রিয়াটাই এমন। কখনো পুরো ছন্দ পাওয়া যায়। কখনো বোলিং হয় এলোমেলো। শতভাগ ছন্দ পেতে বিশ্রাম নিয়ে খেলতে হয়। বেছে বেছে খেলতে হয়। তাসনিক সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাইছেন।
এজন্য বিপিএলের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে চাইলেও টেস্টে বিশ্রামে থাকতে চাইছেন। তার এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন করছেন বিসিবির পরিচালক ও বিপিএলের দল দুর্দান্ত ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, তাসকিনের ওয়ার্কলোড বুঝে তাকে পরিচালনা করা উচিত।
রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘এটা (বিশ্রাম) তাসকিনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ও সিদ্ধান্ত নেবে। ওর তো বয়সও হচ্ছে। এখন তো ২৫-২৬ বছর বয়স না। কতটুকু পারবে চিন্তা করতে হবে। এ বছর অনেক টেস্ট আছে। আমি মনে করি ওকে সাবধানে ব্যবহার করাই ভালো হবে। যেখানে প্রয়োজন নেই বা নতুন একটা ছেলেকে পরীক্ষা করতে পারি, সেখানে তাসকিনকে না খেলানোই ভালো। আমরা যাতে ফিট তাসকিনকে পাই, তাহলে বাংলাদেশের জন্য অনেক ম্যাচ জেতা সহজ হবে।’
বিপিএল তাসকিনের সেরা বোলিং এখনও পাওয়া যায়নি। ৫ ম্যাচে নিয়েছেন কেবল ৫ উইকেট। খুব কাছ থেকে তাসকিনকে দেখা খালেদ মাহমুদ তাসকিনের উন্নতিতে সন্তুষ্ট, ‘তাসকিন ব্রিলিয়ান্ট। আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। যথেষ্ট কাজ করেছে, আমিও ওর সাথে কাজ করেছি। বোলিংয়ে এখনও শতভাগ ছন্দ পায়নি। প্রতিটি ম্যাচেই ভালো বল করছে। তবে এখনও কাজ করার জায়গা আছে। এটা সে-ও জানে এবং অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। বলব না ও ফিট না। তবে ও যতটা করছে খারাপ না। আমি জানি তাসকিন দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করবে।’