তিউনিসিয়া উপকূলে প্রায় প্রতিদিনই কয়েক ডজন অভিবাসীকে কবর দিতে হচ্ছে। এ কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ নতুন কবরস্থান নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে।
২০১৭ সাল থেকে নৌকায় ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নৌকায় সাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেড়েছে। এর ফলে সাগরে নৌকা ডুবে প্রাণহানিও বেড়েছে। প্রায়ই অভিবাসন প্রত্যাশী গর্ভবতী নারী ও শিশুদের মৃতদেহ তিউনিসিয়া উপকূলে ভেসে আসছে। কর্তৃপক্ষ এসব মৃতদেহ সংগ্রহ করে উপকূলে কবর দিচ্ছে।
গত বছর তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মতে, তিউনিসিয়ার শুধুমাত্র স্ফ্যাক্স অঞ্চলেই আট শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং চলতি বছরের শুরু থেকে তিন শতাধিক মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল, স্থানীয় মর্গগুলো তাদের ধারণক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে, এবং অনেক পৌর কবরস্থানে শরণার্থীদের কবর দেওয়ার জায়গা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
স্ফ্যাক্স গভর্নরেটের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভিক্টিমের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায়, হাবিব বোরগিবা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ১৭০টিরও বেশি মৃতদেহ রাখার ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে।’
এই সমস্যার ‘আমূল সমাধান’ খুঁজতে স্ফ্যাক্সের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে। তারা ‘অভিবাসীদের জন্য দ্রুত একটি কবরস্থান বরাদ্দ করা এবং প্রায়শই পচনশীল মৃতদেহ পরিবহনের জন্য রেফ্রিজারেটেড ট্রাকের ব্যবস্থা করার’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালীয় উপকূলরেখায় পৌঁছেছে। ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেশি। গত মাসে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপগামী উদ্বাস্তু নৌকার সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছর প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে এবং প্রায় ১৫ হাজার অভিবাসী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।