মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি চলমান থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারী ৩০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সকালে জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদে প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, ইউপি সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়াসহ বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানানো হবে।’
ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ প্রশাসনের বৈঠকে ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের জানায়।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি বোরহান আজিজ বলেন, ‘রোববার সকালেও মিয়ানমার থেকে বেশ কিছু গুলির আওয়াজ ভেসে এসেছে। তাই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কমেনি।’
সীমান্ত থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ‘স্থানীয়দের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করা হচ্ছে। তাদের নিরাপদ রাখতে যা করণীয় সবই করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে। তবে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।