পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। এ নিয়ে একাধিক জাপানিজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মাশাহিরো ওকামুরার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল ডিজাইনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা হয়ে থাকবে এমন নয়, যাত্রী সেবাতে যেন বিশ্ব সেরা হতে পারে সেটার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
জাপানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শেষের দিকে। খুব শিগগিরই লাইন-৬ খুলে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় টার্মিনাল আংশিক উদ্বোধন হলো। মাতারবাড়ির কাজ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু যমুনার ওপরে নির্মিত হচ্ছে এটাও এগিয়েছে। যে প্রজেক্টগুলো হাতে সেগুলো যেন যথা সময়ে স্মুথলি কাজ শেষ হয়, সেটার বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং আরও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কৌশলগত সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাপানের অব্যাহত একটা সহযোগিতার অংশ হচ্ছে বড় অগ্রাধিকারে থাকবে। সেটার জন্য আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও কীভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করেছি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন। মিয়ানমারের সঙ্গে জাপানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। মিয়ানমারে বর্তমানে সেনা শাসনের কারণে একটা জটিলতা আছে। এটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বৈঠক শেষে জাপানের ভাইস মিনিস্টার বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশ তথা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে সহায়তা করতে পেরে জাপান গর্বিত।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন জাপানি মন্ত্রী। তিনি বলেন, জাপান স্বেচ্ছায়, মর্যাদার ভিত্তিতে ও নিরাপদে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আশা করে। আমাদের প্রত্যাশা মিয়ানমার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।