মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো করোনার টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। তবে সোমবার প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ল্যাসসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাভাবিকভাবে টিকার যে ডোজ দেওয়া হয় সেটাই যথেষ্ট কার্যকর। তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। খবর ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির।
করোনার অতিসংক্রামক ধরণ ডেল্টার প্রকোপ ঠেকাতে কিছু দেশ বাড়তি ডোজ দেওয়া শুরু করায় আপাতত তা স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলে আসছে, দরিদ্র দেশগুলো অল্প কিছু টিকা পেয়েছে। কোটি কোটি মানুষ এক ডোজও পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয় ডোজ দেওয়া স্থগিত রাখা উচিত।
সোমবার ল্যানসেটে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীদের ওই নিবন্ধে উপসংহার টানা হয়েছে যে, করোনার অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ‘বৈশ্বিক একটি মহামারির এই পর্যায়ে এসে সাধারণ মানুষকে কোভিড টিকার বাড়তি কোনো ডোজ (বুস্টার ডোজ) দেওয়ার মতো পদক্ষেপ যথার্থ হতে পারে না।’
টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও তার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত এই বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, কোভিডের গুরুতর উপসর্গের ক্ষেত্রেও টিকা এখনো উচ্চমাত্রায় কার্যকর। সেটা ডেল্টাসহ মূল ভাইরাসটির যে কোনো ধরনের সংক্রমণে। তবে তারা দেখেছেন, উপসর্গহীন কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কিছুটা কম কার্যকর।
গবেষণাটির প্রধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আনা-মারিয়া হেনাও-রেস্টেরেপো বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে এখন পর্যন্ত হওয়া গবেষণায় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে গুরুতর সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে টিকার সুরক্ষা হ্রাস পায়। এটাই টিকাদান কর্মসূচির প্রাথমিক লক্ষ্য। তাই যারা এখনো টিকা পায়নি তাদের আগে টিকা দেওয়া উচিত।’