পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তার। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। এরই মধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুললেন আলিজা। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন ফিরোজ খান।
আলিজা সুলতানকে মারধরের প্রমাণ স্বরূপ প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু স্থিরচিত্র। তাতে দেখা যায়, আলিজার চোখে আঘাতে চিহ্ন। হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। একাধিক স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। তা ছাড়াও ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন আলিজা।
চার বছরের দাম্পত্য জীবনের কঠিন সময়ের কথা উল্লেখ করে আলিজা বলেন—‘আমাদের চার বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল বিভীষিকাময়। এই চার বছরে প্রতিনিয়ত শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তা ছাড়াও আমার স্বামী আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছি।’
আহত আলিজার ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘ফিরোজ একটা জানোয়ার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই জানোয়ারকে কারাগারে রাখা উচিত।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘নাটকের খল চরিত্রের মতো বাস্তব জীবনেও খারাপ হয়ে গেছে।’ একজন লিখেছেন, ‘এটা লজ্জার। এখনো ফিরোজ খানকে নিয়ে নির্মাতারা কাজ করছেন।’ এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।