দক্ষিণ আফ্রিকায় এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। দেশটিতে সহিংসতার কারণে দোকানপাট ও অফিসগুলোতে লুটপাট চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭২ জন নিহত হয়েছে এবং ভাঙচুরের শিকার হয়েছে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, করোনার তৃতীয় দফা ঢেউ মোকাবিলা করতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সহিংসতার কারণে হাসপাতালের কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে।
আদালত অবমাননার মামলায় বুধবার থেকে জুমার ১৫ মাসের কারাদণ্ডের মেয়াদ শুরু হয়। এর প্রতিবাদে ওই দিন থেকে জুমার নিজের প্রদেশ কজুলু-নাটালে (কেজেডএন) সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লেও শুক্রবার থেকে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন শপিং মল ও গুদামগুলোতে লুটপাট হয়েছে কিংবা অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর অধিকাংশই ঘটেছে কজুলু-নাটাল ও পাশের গাউতেং প্রদেশে। মঙ্গলবার রাতে এমপুমালাঙ্গা ও নর্দান কেপ প্রদেশেও সহিংসতা শুরু হয়।
সহিংসতা ও লুটপাট ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার কিছু কিছু এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪১টি সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিত্বকারী দ্য ন্যাশনাল হসপিটাল নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, তারা অক্সিজেন ও ওষুধ সংকটে ভুগছেন। এছাড়া হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট দেখা দিয়েছে। সহিংসতার কারণে চিকিৎসাকর্মীরা হাসপাতালে যেতে পারছে না।