দক্ষিণ ভারতে নিজেদের একমাত্র দুর্গ হাতছাড়া হলো কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। কর্নাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। শনিবার এ ফল ঘোষণা হয়েছে।
রাজ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৭ আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ৬৪টি আসন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মানি বিজেপির পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
কর্নাটকের জয় নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘কর্নাটকে ঘৃণার কারবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভালবাসার বিপণি খুলে গিয়েছে।’
দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য— অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানার মধ্যে শুধুমাত্র কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে সরকারে রয়েছে বিজেপি সমর্থিত এনআর কংগ্রেস। তাই কর্নাটক ছিল নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটপ্রচারে বার বার কর্নাটকে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজেদের দুর্গ ধরে রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বিতর্ক, ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ের শহিদ টিপু সুলতানের ধর্মীয় পরিচিতি, ওবিসি মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল, কংগ্রেসের ইস্তাহারে বজরং দল নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির মতো বিষয়কে হাতিয়ার করে মেরুকরণের চেষ্টা করেছে বিজেপি। এমনকি, ভোটের প্রচারে এসেছে ‘হালাল মাংস’ এবং বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রসঙ্গও।
হিন্দুত্বের প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু অধ্যুষিত কর্নাটকে মোদিকণ্ঠে বার বার ধ্বনিত হয়েছে রাষ্ট্রপ্রেম এবং উন্নয়নের কথা। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে শেষ পর্যন্ত কাজ করল না ‘মোদি ম্যাজিক’।