সাম্প্রতিক সময়ে সাউথ আফ্রিকায় বিদেশি শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। অধিাকাংশ ক্ষেত্রেই এই শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তাদের দোকানেও হামলা হয়েছে৷ব্যবসা ও টাকা নিয়ে বিরোধ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বিবাদ ইত্যাদি কারণে দক্ষিন আফ্রিকায় গত ৪ বছরে নির্বিচারে বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী৷ এএফপি
তবে নিহত অনেকের পরিবার মৃত্যুর বিষয় জানেন না বলে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। বিবাদ মেটাতে বেশিরভাগ বাংলাদেশি ‘স্থানীয় গুন্ডা ভাড়া’ করেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত৷
খলিল মিয়া নামে এক অভিবাসী বাংলাদেশি জানিয়েছেন, স্থানীয়রা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে থাকে৷ ‘যদিও আমরা তাদের চাকরি নিচ্ছি না, তবুও তারা আমাদের বন্দুক নিয়ে হামলা করে,’ বলেন তিনি৷ জোহানেসবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতা আব্দুল আওয়াল তানসেন বলেন, ‘‘অনেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ কিন্তু বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, আমরা সেগুলো কাউকে জানাইনি, কারণ, আমাদের অনেকেই এখানে অবৈধভাবে বাস করছেন৷’
চলতি শতকের শুরুর দিকে দক্ষিন আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের অভিবাসন শুরু হয়৷ এখন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি এখানে বাস করছেন৷ তাদের অনেকেই অবৈধভাবে আছেন৷ অনেক বাংলাদেশি মুদি দোকান দিয়েছেন।
দক্ষিন আফ্রিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সংখ্যাটি মোট ৪৫২৷
এখানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশই হত্যার শিকার হয়েছেন৷ অনেককেই তাদের দোকানে গুলি করা হয়েছে বলে জানান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।