কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দাঁড়িপাল্লার এক পাশে তুলে দেওয়া হলো বিয়ের পোশাক পরিহিত কনেকে। অন্য পাশে রাখা হলো কয়েন। পরে কনের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন দিয়ে মাপা হলো তাকে। এরপর মেয়ের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন বরপক্ষকে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, জন্মের সময় মানত করা ছিলো মেয়ে যদি বেঁচে থাকে তবে তার ওজনের সমপরিমাণ কয়েন দিয়ে তাকে বিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, এ ঘটনাটিকে যৌতুক হিসাবে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামের রতন আলীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলের। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে ছেলে পক্ষকে কয়েন (টাকা) উপহার দেন মেয়ের পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
কনের বাবা রতন আলী জানান, মেয়ের জন্মের সময় মানত করা হয়েছিল। মেয়ে বেঁচে থাকলে তার বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে। এটি যৌতুকের টাকা নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
একই এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম জানান, এভাবে প্রকাশ্যে ওজন করে টাকা দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি যৌতুক না ‘মানত’, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ নিয়ে গ্রামে নানা কথা চলছে।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।