প্রথমবার আইপিএলের ফাইনালে ওঠা দিল্লি ক্যাপিটাল গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয়। শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্তের হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করে তারা। লক্ষ্যে ছুটতে ঘাম ঝরাতে হয়নি মুম্বাইকে। ৫ উইকেটের সহজ জয়ে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুললো তারা।
দুবাইয়ে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামে দিল্লি। ট্রেন্ট বোল্টের তোপে পড়ে মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের প্রথম বলে মার্কাস স্টোয়নিস ফিরে যান। পরের ওভারে কিউই পেসার ২ রানে আজিঙ্কা রাহানেকে মাঠছাড়া করেন। জয়ন্ত যাদবের কাছে শিখর ধাওয়ান (১৫) বিদায় নিলে বিপদে পড়েছিল দিল্লি।
এই পথহারা দলকে টেনে তোলেন পান্ত ও আইয়ার। চতুর্থ উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৩৮ বলে ৫৬ রান করে নাথান কোল্টার নাইলের শিকার হন পান্ত। ৫০ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিল্লির স্কোর দেড়শ পার করেন অধিনায়ক আইয়ার।
বোল্ট ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। কোল্টার নাইলের কাছে দুটি উইকেট হারায় দিল্লি।
আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই। গত সাত মৌসুমে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালের শিরোপা জিতেছিল মুম্বাই। প্রথমবারের মতো টানা শিরোপা জয়ের সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেনি দলটি।
রোহিত শর্মাকে সঙ্গে করে ওপেনিং জুটিতে ৪.১ ওভারে ৪৫ রান তুলে বিদায় নেন কুইন্টন ডি কক। স্টোয়নিসের শিকার হন তিনি ২০ রান করে। সূর্যকুমার যাদবও অধিনায়ককে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন। ১৯ রানে রান আউট হন সূর্যকুমার।
৯০ রানে দুই উইকেট হারানো মুম্বাই জয়ের পথে ছুটতে থাকে রোহিতের ওপর ভর করে। ৩৬ বলে তিন চার ও চারটি ছয়ে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান অধিনায়ক। জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে রোহিত আউট হন। ৫১ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৬৮ রান করেন তিনি। ১৯ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ইশান কিষাণ।
১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বাই করে ১৫৭ রান।