জসিম মল্লিক,টরন্টো,কানাডা।
লেখক পরিচিতিঃজন্ম বরিশাল শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। কলেজ জীবন থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু এবং দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক-এ নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজের মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতার শুরু। দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছরের সাংবাদিকতা ও লেখালেখির অভিজ্ঞতা।এ পর্যন্ত তার প্রায় পঁয়ত্রিশটির মতো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
এবারের ঈদ হবে একেবারে অন্যরকম। এবারের ঈদ কষ্টের, এবারের ঈদ বেদনার। এবারের ঈদ স্বজন হারানোর এবং বন্দী দশার মধ্যে ইধ হতে যাচ্ছে। করোনা দিনের ব্যাতিক্রমী এক ঈদ হতে যাচ্ছে প্রবাসীদের জন্য। কারণ কানাডায় লকডাউন ২ জুন পর্যন্ত চলবে। সুতরাং সোশ্যাল ডিস্টান্সিং মেনে চলতে হবে সবাইকে। কোথাও ঈদের নামাজ হবে না। ঘরে বসেই ঈদের নামাজ পড়তে হবে। পাঁচজনের বেশি একত্রিত হতে পারবে না। দুই মিটার দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে নতুন পোশাক। ঈদ মানে মায়ের কাছে যাওয়া। ঈদ মানে স্বজন আর বন্ধুদের মিলনমেলা, হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো। ঈদ মানে কোলাকুলি, করমর্দন। ঈদ মানে প্রতিবেশীদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা দেওয়া। গ্রামে গিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একত্র হওয়া। কিন্তু এবার সেই অনাবিল আনন্দের আবহ নেই। খুশির জোয়ারও নেই।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো সবকিছু থমকে গেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে বিদেশে অনেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বন্ধু, প্রতিবেশীসহ প্রিয়জন হারানোর ব্যথা মুছে যায়নি। যাদের স্বজন হাসপাতালে রোগ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তাদের জন্য নিশ্চয় এবারের ঈদ খুশি বয়ে আনতে পারেনি। অধিকাংশ মানুষই ঘরবন্দি। স্বজনদের কাছ থেকে দূরে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে বিদেশে এই প্রথম পালিত হচ্ছে ঈদ।