যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তবে, তিনি দাবি করেছেন, বিদেশে সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি।
মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মন্ত্রণালয়ে ১ টাকার দুর্নীতিও হয়নি বলে দাবি করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে প্রয়োজনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণাও দিয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এর পর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন।
নির্বাচনি হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, হলফনামা পুরোপুরি বাংলাদেশের আয়কর রিটার্নের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এতে বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই। বাড়তি তথ্য কেন দিতে যাবেন?
তিনি বলেন, বিদেশে তার আলাদা আয়কর নথি আছে। আর বিদেশে যে সম্পদ আছে, এর পেছনে ব্যাংক ঋণ আছে।
মন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে ব্যবসার বিপুল সম্প্রসারণের বিষয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারি তার জন্য সুযোগ হয়ে আসে। সে সময় লন্ডনে বাড়ির দাম পড়ে যায়। ব্যাংক ঋণের সুদ কমে যায়। সে সময় তিনি ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হয়েছেন।
নিজেকে আগে ব্যবসায়ী পরে রাজনীতিক বলে উল্লেখ করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনে-বুঝে। কারণ, তার সন্তানদের তখন মালিক হওয়ার মতো বয়স ছিল না। তার বিদেশের সম্পদের পরম্পরা (ট্রেইল আছে) আছে। সুতরাং, নিজের নামে সম্পদ করেছেন জেনেই।