সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সুচির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১১টি দুর্নীতির অভিযোগের প্রথম মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, সুচির বিরুদ্ধে ১৮টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে আদালতে। এসব দোষ প্রমাণিত হলে তাকে প্রায় ১৯০ বছরের সম্মিলিত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বুধবার আদালতের কার্যক্রম শুরুর পরপরই বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটির অভিযোগে বলা হয়েছে, সুচি ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা এবং ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুচি। তিনি এই অভিযোগ গুলোতে ‘অযৌক্তিক’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
এদিকে সু চিকে কারাগারে স্থানান্তর করা হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে। দেশটির জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং আগেই বলেছেন যে অন্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও সুচিকে সুচিকে সেখানে রাখা হতে পারে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানায়, সু চির বিচার চলছে কারণ তিনি অপরাধ করেছেন। তাকে স্বাধীন একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।