যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটি সব ভবনের যৌথ ওজনের কারণে নিচে দেবে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারাবাহিক এই প্রক্রিয়াটি এমন একটি শহরের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যার চারপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এই উচ্চতা আট ইঞ্চি থেকে ৩০ ইঞ্চি বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘন ঘন বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই উচ্চতা আরও দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ভূ-পদার্থবিদ টম পার্সনস বলেছেন, ‘আমরা সমুদ্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। কিন্তু নিউইয়র্কে স্যান্ডি এবং ইডার মতো কয়েকটি বড় হারিকেনের ঘটনা ঘটেছে যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শহরে প্লাবিত হয়েছে এবং নগরায়নের কিছু প্রভাব পানি প্রবেশ করতে দিয়েছে।’
আর্থস ফিউচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রের লক্ষ্য হল উপকূলীয়, নদীর তীরে বা লেক এলাকায় উঁচু ভবনগুলি কীভাবে ভবিষ্যতে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায় এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক প্রভাবগুলি প্রশমিত করার উপায় প্রকাশ।
গবেষকরা সেই সময়ে নিউ ইয়র্ক সিটির পাঁচটি জেলায় বিদ্যমান এক লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৪ ভবনের ভর গণনা করেছেন। তাতে দেখা গেছে, এই ভবনগুলোর ওজন প্রায় এক লাখ কোটি ছয় হাজার ৮০০ কোটি পাউন্ড। মাটিতে এই ওজনের প্রভাব বিশ্লেষণের পর দেখা গেছে, শহরটি ‘বছরে গড়ে প্রায় ১ থেকে ২ মিলিমিটার, কিছু কিছু এলাকায় সাড়ে ৪ মিলিমিটারেরও বেশি দেবে যাচ্ছে।’
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৮টি সর্বাধিক জনবহুল উপকূলীয় শহরের মধ্যে ৪৪টি এমন এলাকা রয়েছে যেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির চেয়ে দ্রুত দেবে যাচ্ছে। লোয়ার ম্যানহাটন, ব্রুকলিন এবং কুইন্সের কিছু এলাকা গড়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে দেবে যাচ্ছে।