আমেরিকায় স্থায়ী হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর এর জবাব দিলেন দেশসেরা এই চিত্রনায়ক।
প্রথমবারের মতো ভিসা পেয়েই স্বপ্নের দেশে পাড়ি দিয়েছেন শাকিব খান। শুরুতে ১০ দিনের কথা বললেও এখনও দেশে ফেরেননি তিনি। এরপরই নানান গুঞ্জন ওঠে তাকে নিয়ে। শাকিব খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যারা আমার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিয়ে নানান কথা বলছেন, তারা আসলে এই প্রক্রিয়া না জেনেই কথা বলছেন। আমার এখানে স্থায়ী বসবাসের কথা উঠছে কেন? আমি তো চাইলে আগামী মাসেই দেশে ফিরতে পারি। দেশান্তরী হওয়ার মতো কিছু তো ঘটে নাই। আমি এখানে কাজের মধ্যে আছি। যারা বড় আয়োজনে সিনেমা বানায় তারা বোঝে প্রি-প্রোডাকশনে কত মাস লাগে! আমেরিকার মতো দেশে আমি প্রথম সিনেমা করতে যাচ্ছি, সবকিছু গোছাতে গোছাতে তো আমার দিনরাত পার হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমেরিকার গ্রিন কার্ড দেশটির সরকার সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রেটিদের দিয়ে থাকে। এই সম্মানটা সবাইকে দেওয়া হয় না। যাদের দেয় তারা সম্মানিত হয়ে গ্রহণ করেন। আর কোভিডের আগে দেশে থাকতে অন্য প্রক্রিয়ায় আমার গ্রিন কার্ড ঠিক হয়ে ছিল। তার মানে তো এই না যে আমি আমার দেশ ছেড়ে দিচ্ছি। এখানে এসে শুধু গ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল। এজন্য তো বছরের পর বছর থাকতে হয় না। বাংলাদেশের অনেক টপ মোস্ট সেলিব্রেটি আগে থেকে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন। তারা বাংলাদেশে বাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। বলিউডের বহু সেলিব্রেটিদের গ্রিন কার্ড রয়েছে। এ ছাড়া দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে তাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই আছে। কিন্তু তারা ইন্ডিয়াতে বসবাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে আমার এটা নিয়ে কথা উঠছে কেন? কিছু মানুষ সবসময় অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’
১৬তম চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নিয়ে ১২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যান কিং খান। পরে ঢালিউড ফিল্মস এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নেন ৫ ডিসেম্বর। অনুষ্ঠানের মঞ্চে শাকিব ঘোষণা দেন, তিনি তার নতুন সিনেমার শুটিং করবেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে। তিনি এ সময় বিশ্বব্যাপী সিনেমা মুক্তির কথাও বলেন। এজন্য সবকিছু মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রে শুটিংয়ের প্রি-প্রোডাকশন গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি।