অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে গেলে আপনাদের যেমন কষ্ট লাগে, আমারও লাগে। আমি সব সময় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই চাই এগুলো বন্ধ করতে। বন্ধ হচ্ছে।’
সোমবার (৭ জুন) সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আনিত মঞ্জুরি দাবি সম্পর্কিত ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিদেশে টাকা পাচার, পুঁজিবাজারের অব্যবস্থাপনাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সমালোচনা করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যে অবস্থা ছিল, তা আর নেই। আগে সিমেন্টের নামে বালি আসত। একটার নাম করে আরেকটা আসত। আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে, তা বলব না। এখন আর পত্রপত্রিকায় দেখা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ছয় থেকে ১২ মসের মধ্যে ১৫টি আইন দেখতে পারবেন এগুলো বন্ধ করার জন্য। অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, ইনঅ্যাফেকটিভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এগুলো হয়। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব। নতুন নতুন আইন করব। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেবো। কোনো টলারেন্স নেই এখানে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, গ্রামে গ্রামে ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চ হয়েছে। দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৩.৬ শতাংশ। এখন ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৬ সালে টোটাল লোন আউটস্ট্যাডিং ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন আট গুণ বেড়ে ১১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন পুঁজিবাজারে লেনদেন ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ছিল, এখন পাঁচ গুণ বেড়েছে। গড় লেনদেন ছিল দৈনিক ২৮ কোটি টাকা, এখন ৩০ গুণ বেড়েছে। তাহলে পুঁজিবাজার কেমন করে বসে গেল? পুঁজিবাজার সম্পর্কে তথ্য রাখেন না, হয়তো সেজন্য বলছেন।’
অর্থপাচারের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কারা টাকা নিয়ে যায়, লিস্ট আমার কাছে নেই। নামগুলো আমাদের দিন। তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হবে।‘
তথ্য: বাসস