আগামী দিনের বৈশিক ব্যবসা বাণিজ্যে এভিয়েশন সেক্টরের ভূমিকা থাকবে অপরিসীম। বাংলাদেশেও এভিয়েশন সেক্টরের উন্ননয়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি উদ্দোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান গ্যাম্বিট এভিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন।
একজন উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীর কাছে সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে তার সময়। বলা হয়ে থাকে, সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড়। টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময়ের ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে অনেক সুযোগই হাতছাড়া হয়ে যায় ব্যবসায়ীদের জন্য। বৈশ্বিক ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিষয়টি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একজন অসুস্থ রোগীর জীবন বাঁচাতে প্রথম করণীয় হলো দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে রোগীকে পৌঁছানো। দেশের বর্তমান ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যা প্রায় অসম্ভব। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা বড় দুর্ঘটনায় কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া।
উপরের এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রধান বিষয় মাথায় রেখেই সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্যাম্বিট এভিয়েশনের যাত্রা শুরু করেছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের দ্রুততম সময়ে প্রাইভেট এয়ার চার্টারের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরাপদে পৌঁছে দেয়া।
একই সঙ্গে অসুস্থ রোগীকে দ্রুততম সময়ে পৃথিবীর যে কোনো হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বা স্থানান্তর করতে গ্যাম্বিট এভিয়েশনের রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবা। সেই সঙ্গে দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে অংশ নিতে সংস্থাটির রয়েছে রেসকিউ অপারেশন্স সুবিধা।
গ্যাম্বিট এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন আরও জানান, এই ধরণের উচ্চমানের সেবা দিতে এবং সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন বড় ধরণের বিনিয়োগ। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এই খাতে বিনিয়োগ করে শিল্পটিকে আরো সমৃদ্ধ করবেন।
বর্তমান শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থার মান বাড়াতে তিনি এবং তার সহকর্মীরা নিরলস কাজ করছেন, যেন বাংলাদেশের গ্যাম্বিট এভিয়েশন একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তিনি বিনিয়োগকারী ও শেয়ার-হোল্ডারদের তার নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।